মাজহারুল ইসলাম: শুক্রবার (১৯ মে) সকালে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। জাগোনিউজ

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি খুব যে খারাপ তা কিন্তু নয়। দুটোতেই একটুখানি ঝামেলা হয়েছে। গতানুগতিকভাবে গ্লোবাল মার্কেটে দাম বেড়েছে, যেমন ডালের দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের দাম কখনো বাড়ে, আবার কখনো কমে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এছাড়া আদা, রসুন, জিরাসহ অন্যান্য মশলার দামও বাড়ছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এসব বাজারে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, ১৫ দিন আগেও ৫৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্ত সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এনটিভি অনলাইন

এ ছাড়াও বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে। চীন থেকে আমদানি করা ভালোমানের আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে মাসখানেক আগেও আদা বিক্রি হতো ১৮০ টাকায়। এছাড়া আমদানি করা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কয়েকদিনের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আলুর দাম আরো বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

মাছের বাজারে দেখা যায়, দেশি ও চাষের সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রুই-কাতলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। পাঙাশ ও তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। আর টেংরা, কই, শিং ও চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ টাকার বেশিতে।

মুদির দোকানে দেখা গেছে, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও চিনি ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া